Food Blog

বিভিন্ন মসলার উপকারিতা

খাবারকে মুখরোচক করতে নানা রকম মসলার জুড়ি নেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না শুধু স্বাদ বাড়াতেই না, বরং প্রতিটা মসলারই ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার হয় এমন কিছু মসলার উপকারিতা জেনে নিতে পারেন- 
•    খাবারে নিয়মিত হলুদ গ্রহণ করলে ওজন কমে! আমাদের স্থূলতার জন্য দায়ী টিস্যুগুলোর বৃদ্ধি রোধ করে। মেটাবলিজম বাড়ায়।
ফলে চিনিজাত খাদ্য শরীরে চর্বি আকারে জমাট বাঁধতে পারে না। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারিয়ে তোলে। 
•    এ ছাড়া হলুদ পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিকজাতীয় উপাদানের আধিক্য শারীরিক অসুস্থতা আনে। তৈরি করে মানসিক অস্থিরতা। হলুদ এ ক্ষেত্রে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। 
•    হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে।
আর্থ্রাইটিসের কবল থেকে এই উপাদান রক্ষা করে। হাড়ের কোষকে সুরক্ষা দেয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নড়াচড়ার অসুবিধা দূর করে। 
•    হলুদ যকৃতের নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। লিভারের বহুবৃদ্ধি, হেপাটাইটিস, সিরোসিস, গলব্লাডারের মতো সমস্যা তৈরিতে বাধা দেয়।
•    মরিচের প্রধান রাসায়নিক উপাদানের নাম ক্যাপসিনিন, যা মূলত তীব্র ঝাল লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকে। এই উপাদানটিই রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়। ফলে রান্নায় মরিচের ব্যবহার মানেই যে শরীরের অপকার সাধন হবে- এ কথাটি ভুলে যান। 
মরিচে যে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে তা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। ফলে ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি সম্পর্কিত ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা কমে রান্নায় মরিচ খাওয়া হলে

•    অন্যদিকে মরিচে যে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে তা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। ফলে ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি সম্পর্কিত ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা কমে রান্নায় মরিচ খাওয়া হলে। 
•    হজমে সহায়তা করে ধনিয়া। রান্নায় ধনিয়ার ব্যবহার পেট ফোলা ভাব, গ্যাস্ট্রিক, বমি ভাব ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। 
•    ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও ধনিয়া বেশ ভালো উপাদান। ফলে রান্নায় ধনিয়ার ব্যবহার কিন্তু সুস্বাস্থ্যের কথাই বলে। 
•    গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। এ সমস্যা থেকে সমাধান টানতে পারে জিরা।
অন্যদিকে হজমে যেহেতু সহায়তা করে এ মসলার উপাদান, তাই অন্ত্রের জন্যও খুবই ভালো এ মসলা। 
•    জিরায় রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন। শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহও বাড়ায়। 
•    এমনকি অনিদ্রার সমস্যা দূর করতেও জিরার জুড়ি নেই।